আউটসোসিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার আগের
যুদ্ধটা এক
রকম।
আর কাজ
পাবার পর
সেটি শেষ
করার লড়াইটা
ভিন্ন রকম। দুটি
বিষয়ই একজন
ফ্রিল্যান্সারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময়
দেখা যায়
নতুন ফ্রিল্যান্সাররা
কাজ পাওয়ার
জন্য যতটা
সময় ও
শ্রম ব্যয়
করেন তার
রেশ ধরে
রাখতে পারেন
না কাজ
পাওয়ার পর।
কাজটি পাওয়ার
পর কি
করতে হবে
সেদিকে অনেকেই
গুরুত্ব দেন
না।
কাজ পাওয়ার
ক্ষেত্রে যতটা
চেষ্টা থাকতে
হবে, তেমনি
একজন সফল
ফ্রিল্যান্সার হতে হলে কাজটি ভালোভাবে
শেষ করার ব্যপারেও খুব
যত্নশীল হতে
হবে।
এ বিষয়ে
গুরুত্ব না
দিলে পরে
পস্তাতে হবে।
কেননা ভালো
কাভার লেটার
বা সাক্ষাৎকারের
ভিত্তিতে ক্লায়েন্ট
প্রথমবার কাজ
দিতে রাজি
হলেও সেটি ভালোভাবে ও
যথাসময়ে শেষ
করতে না
পারলে আসল
কষ্টটাই বৃথা
যেতে পারে।
পরে কাজ
পাওয়াও কঠিন
হয়ে পড়তে
পারে।
তাই কাজ
পাওয়ার পর
করনীয় বিষয়গুলো
তুলে ধরা
হলো এই
প্রতিবেদনে।
কাজটির বর্ণণা ভালোভাবে পড়া
কাজ পাওয়ার
পর সর্বচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হলো যে কাজটি করতে
হবে সেটি
সম্পর্কে সঠিক
ধারণা নেওয়া।
কেননা কাজটির
বিষয়ে পুরোপুরি
না বুঝলে
তা হিতে
বিপরীত হতে
পারে।
সঠিক ধারণা
না থাকলে
কাজটি নির্ভুল
করা যাবে
না। তাই
কাজের বর্ণণাটি
কয়েকবার পড়তে
হবে। প্রয়োজনে
ক্লায়েন্টের সাথে স্কাইপেতে সরাসরি কাজের
ব্যপারে কথা
বলা উচিত।
যদি কাজটি
সম্পর্কে কোনো
প্রশ্ন থাকে
তাহলে সংকোচ
না করে
ক্লায়েন্টের কাছে বিস্তারিত জেনে নেওয়াই
উওম।
ক্লায়েন্টের মতামতের গুরুত্ব প্রদান
ক্লয়েন্ট কাজটি
কিভাবে চায়?
কত দিনের
মধ্যে শেষ
করতে হবে?
এই ব্যপারগুলোতে
সব সময়
তার মতামতের
গুরুত্ব দিতে
হবে। কাজটি
ক্লায়েন্ট যেভাবে চাচ্ছে- যেভাবে করতে
হবে।
তবে নিজের
কোনো পরামর্শ
থাকলে তা
ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলাপ করে নিতে
হবে। অনুমোদন
ছাড়া নিজের
মতো করে
কিছু করলে
তা পছন্দ
না হলে
ক্লায়েন্ট মন:ক্ষুন্ন হতে পারেন।
রিসোর্স সংগ্রহ
কাজটি করতে
কি ধরনের
রিসোর্স প্রয়োজন
সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
যেমন : আর্টিকেল
লিখতে হলে
প্রথমে বিষয়বস্তু
নির্ধারণ করে
নিতে হবে।
ওয়েব ডেভেলপ
করতে হলে
প্রয়োজনীয় ছবি, থিম, প্লাগিং রিসোর্সগুলো
সংগ্রহ করে
রাখা উওম।
কর্ম পরিকল্পনা
কাজটি করার
জন্য একটি
কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে নিতে হবে।
তবে সে
ক্ষেত্রে লক্ষ্য
রাখতে হবে
কখনও যেন
কাজ ডেলেভারি
দিতে দেরি
না হয়।
নির্ধারিত সময়ের আগে যাতে এটি
শেষ হয়
এমনভাবে কাজের
রুটিন করে
নিতে হবে।
ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ
কাজ করার
সময় প্রতিনিয়ত
ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা উচিত।
তাকে কাজের
অগ্রগতি সম্পর্কে
জানানো ভালো।
এতে করে
কাজ করতে
গিয়ে কোনো
সমস্যা হলে
বা কোনো
পরিবর্তন থাকলে
কিংবা ভুল
হলে ক্লায়েন্ট
ধরিয়ে দিতে
পারবে। অনেক
সময় দেখা
যায় পুরোকাজ
শেষে ভুলটা
ধরা পড়ে।
সেটি প্রথম
দিকে ধরা
পড়লে অযথা
পণ্ড শ্রম
হবে না।
কাজের সময়
নতুন কোন
আইডিয়া আসলে
তা গুছিয়ে
ও সুন্দর
করে ক্লায়েন্ট
বুঝিলে বলা
উচিত। নিয়মিত
যোগাযোগ থাকলে
উভয় পক্ষের
জন্য এসব
ক্ষেত্রে সুবিধা
হবে।
রিভিশন
কাজটি সম্পূর্ণ
শেষ হওয়ার
পর বার
বার খুঁটিয়ে
খুঁটিয়ে যাচাই-বাছাই করে
দেখতে হবে।
এতে কোনো
ভুল থাকলে
তা ধরা
পড়বে। চূড়ান্তভাবে
ডেলিভারি দেওয়ার
আগে অবশ্যই
চেক করে
নিতে হবে।
তা না
হলে ক্লায়েন্টের
কাছে ইমপ্রেশন
খারাপ হতে
পারে।
কেননা অনেক
কষ্ট করে
শেষের পর
কাজটায় সামান্য
ভুলের কারণে
খারাপ ফিডব্যাক
আসতে পারে।
তাই ভালোভাবে
দেখে নিতে
হবে যাতে
ভুল না
থাকে।
No comments:
Post a Comment